প্রকাশিত: Sat, Apr 20, 2024 1:48 PM
আপডেট: Sun, May 19, 2024 6:59 AM

সাইকোলজিক্যাল টিপস : সবল আত্মমর্যাদাবোধ

অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম আপনি কি  সর্বদা অন্যদের খুশি করতে নিজকে তাদের পা-পোষ হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেন? আমরা যখন নিজেরা সুখে থাকি কেবল মাত্র তখনই অন্যদের সুখী করতে পারি। নিজেদের দিকে ফোকাস করে আমরা নিজেদের ভিতর সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনতে পারি। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘যে পরিবর্তন পৃথিবীতে চাচ্ছেন,সে পরিবর্তন আগে নিজের ভিতর আনুন’। কিন্তু যদি অন্যকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজের স্বাধীন সত্বা বিকিয়ে দেন,তারা যেমন খুশি আপনাকে পায়ে মাড়িয়ে যেতে পারে, আপনি তাদের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেন,তাহলে নিজকে বিকশিত করা, নিজের উত্তরন ঘটানো কি সম্ভব? সে ক্ষেত্রে আপনি কি সুখী হতে পারেন? নিজে সুখী না হলে তাদের সুখী করবেন কীভাবে? অথচ আপনি জান-প্রাণ দিয়ে চাচ্ছেন তাদের সুখী করতে, খুশি করতে। অন্যের পা-পোষ হয়ে তাদের দাসত্ব করা যায়, নিজকে সম্মানিত বা শ্রদ্ধা করা যায় না।

[৭] অন্যদের প্রয়োজন/চাহিদার নিচে নিজের চাহিদাকে চেপে রাখেন? নিজের বিশ্রাম, আরাম ও যতœ বাদ দিয়ে অন্যকে ফেবার করতে যাবেন না। আমরা যখন নিজের যতœ ভালোভাবে নিই তখন আমরা ভালো ভাবে কাজ করতে পারি, অধিক উপার্জনক্ষম থাকি এবং আবেগগত ভাবে সুস্থির থাকি। তাই নিজের প্রয়োজন, চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিন। নিজেকে শ্রদ্ধার আসনে বসান। [৮] আপনি কি বদ সঙ্গ ত্যাগ করতে পারছেন না? আমরা নিজেদের প্রকৃত সত্ত¡াকে বিকশিত করতে পারবো না যদি না যারা আমাদের সঙ্গ দেন তারা আমাদের সত্যিকার সত্ত¡াকে উন্নত করতে সহায়তা না করেন। সময় নিন ও খুঁজে বের করুন ‘সম-মনা’ লোকদের যারা আপনি যে রকম তেমনটি মেনে নেয় ও আপনাকে সমর্থন  করেন (তবে সাময়িক সুবিধা নেওয়ার জন্য যারা তোষামোদি করে সেটিকে সৎ সঙ্গ মনে করবেন না)। অন্যদের ভালোবাসা ও সমর্থন না পেলে নিজকে শ্রদ্ধা করা কঠিন। তাই তেমন উত্তম সঙ্গ বেছে নিন যারা আপনার গুণগ্রাহী, আপনার সত্যিকার সমর্থক। 

[৯] মিথ্যে ‘ভাবমূর্তি’ তৈরির অপচেষ্টা করছে? মনে রাখবেন অন্যরা আমাদের বাস্তব সত্য সম্বন্ধে জানে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে কী ভ‚মিকা নেই তা ও জানে। তাই ভান করে, মেকি উচ্চ ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা নিজকে লজ্জায় ফেলবে, নিজের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কখনো ভুল থেকে শিখে নিয়ে বা ভুলকে সংশোধন করে নিজের একটি স্পষ্ট, উজ্জ্বল ও প্রকৃত ভাবমূর্তি তৈরি করুন এবং নিজের সে ইমেজকে নিজে সম্মান করুন,পছন্দ করুন। এটি হচ্ছে প্রকৃত আত্ম শ্রদ্ধার লক্ষন। মনে রাখবেন আমরা কেউ নিজকে অশ্রদ্ধা করতে চাই না। কিন্তু আমাদের কিছু স্বয়ংক্রিয় আচরন নিজকে অসম্মান, অশ্রদ্ধা করার পর্যায়ে নিয়ে যায় (তৃতীয় পর্বে যেগুলো উল্লেখ করেছি)। একটু সচেতন হয়ে সেগুলো চিহ্নিত করে ও সংশোধন করে আমরা আত্ম শ্রদ্ধা বাড়াতে পারি, যা অন্যদের কাছে আমাদের সম্মান, মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। লেখক: মনোবিদ